সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখার দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের আশ্রিত শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছায় পাঠদান করা দুই শিক্ষক সেইসব শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন। এক মাসেরও অধিক সময় আশ্রয়কেন্দ্রে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস ও গণিত শিক্ষক হাসেম আলী।
বন্যার পানি নামতে শুরু করায় ও গ্রীষ্মকালিন ছুটি শেষে বিদ্যালয় খুলে যাওয়ায় দুর্গতরা বাড়ি ফেরা শুরুর আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সন্তানদের মঙ্গলবার ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনা দিলেন স্বেচ্ছায় পাঠদানকারী প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস ও সহকারি শিক্ষক হাসেম আলী। এ সময় সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন খাতা-কলম উপহার দেন ওই দুই শিক্ষক।
জানা গেছে, গত ১৯ জুন থেকে হাকালুকি হাওরপাড়ের বিভিন্ন গ্রামের ৫৩টি বন্যা কবলিত পরিবার দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করে। বিদ্যালয়ের এই দুই শিক্ষক বানভাসী মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করাসহ ২২ জুন থেকে পরিবারের সঙ্গে আসা প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা পড়–য়া ২৪ শিক্ষার্থীকে স্বেচ্ছায় পাঠদান শুরু করেন।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জেরিনা বেগম, অস্টম শ্রেণির ফাহিমা বেগমসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, বন্যার পানিতে তাদের বই-খাতা সব পানিতে ভেসে গেছে। কঠিন একটি সময়ে তারা এ আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে। এই শিক্ষকদ্বয় তাদের খাবারের ব্যবস্থাসহ রুটিন করে পাঠদান করেছেন। এতে তাদের পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হয়নি। এখন আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে যেতে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস ও সহকারী শিক্ষক হাসেম আলী জানান, বন্যার পানি কমায় ও স্কুল খুলায় আশ্রয় নেয়া দুর্গতরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। দুর্গতদের সাথে স্কুল-মাদ্রাসা পড়–য়া অনেক ছেলে-মেয়ে দেখে তাদেরকে পাঠদানের ব্যবস্থা করেন। এখানে থাকা অবস্থায় সবার সঙ্গে একটা পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রাথমিক ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা বলেছে, তাদের এই স্কুলে ভর্তি করে নিতে। তাদের ছাড়তে নিজদেরেও খারাপ লাগছ